বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে ঝালকাঠির দুটি ইউনিয়নে আলোচনায় এসেছেন দুইজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন ও ভোটারদের পছন্দের কারণে জেলার সর্বত্র আলোচনায় রয়েছেন এ দুই নারী।
তারা হলেন- রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বিউটি সিকদার ও নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের কাজী জেসমিন। দুজনই আওয়ামী লীগের ত্যাগী পরিবারের সদস্য, দায়িত্ব পালন করছেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্তাগড় ইউনিয়নের সব শ্রেণির ভোটারদের কাছে একমাত্র পছন্দের প্রার্থী বিউটি সিকদার। করোনাকালে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগণের জন্যও কাজ করায় ইউনিয়নের সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে সমাদৃত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি গরিব-অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন বিউটি। নিজ এলাকায় সমাজ সেবিকা বিউটি নামেই তার পরিচিতি।
বিউটি সিকদার বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ও শ্বশুর আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমি এক সময়ে ছাত্রলীগ করেছি, বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
এদিকে, মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ওবায়েদুর রহমানের স্ত্রী কাজী জেসমিন। এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে জনসেবাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নিজ ইউনিয়নের মানুষের কাছে আশার অপর নাম কাজী জেসমিন। সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নেতাকর্মী ও ভোটাররা আগামীতেও চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী জেসমিনকেই চান।
সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন বলেন, জনগণের ভালোবাসা ছাড়া আজ আমি এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। চেয়ারম্যান হয়েই নিজ এলাকার মানুষকে ভুলে যাব- এমন মানসিকতা নিয়ে রাজনীতিতে আসিনি। আমি আগামীতেও মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আশা করি, আসন্ন নির্বাচনেও সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাব।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। সদর উপজেলার উপজেলার প্রার্থীরা হলেন- গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে মো. গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানী, নবগ্রাম ইউনিয়নে মুজিবুল হক আকন্দ, বিনয়কাঠী ইউনিয়নে মঈন উদ্দিন পলাশ, কৃর্তিপাশা ইউনিয়নে আব্দুস শুক্কুর মোল্লা, বাসন্ডা ইউনিয়নে মোবারেক হোসেন মল্লিক, গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে মো. আবুল কালাম মাসুম খান, শেখের হাট ইউনিয়নে নুরুল আমিন খান সুরুজ, কেওড়া ইউনিয়নে আবু সাঈদ খান, নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর সরদার।
নলছিটি উপজেলার প্রার্থীরা হলেন- ভৈরবপাশা ইউনিয়নে একেএম আবদুল হক হাওলাদার, মগর ইউনিয়নে মোহম্মদ এনামুল হক শাহিন, কুলকাঠি ইউনিয়নে এইচ এম আখতারুজ্জামান বাচ্চু, রানাপাশা ইউনিয়নে শাহজাহান হাওলাদার, সুবিদপুর ইউনিয়নে আবদুল গফ্ফার খান, কুশাঙ্গল ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন শিকদার, নাচনমহল ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম সেলিম, সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নে কাজী জেসমিন, দপদপিয়া ইউনিয়নে সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা, মোল্লারহাট ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট মোহম্মদ মাহবুবুর রহমান সেন্টু।
রাজাপুরের প্রার্থীরা হলেন- সাতুরিয়া ইউনিয়নে মাইনুল হায়দার নিপু, শুক্তাগড় ইউনিয়নে বিউটি সিকদার, রাজাপুর সদর ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার, গালুয়া ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া পারভেজ খান, বড়ইয়া ইউনিয়নে সাহাবুদ্দিন সুরুমিয়া, মঠবাড়ি ইউনিয়নে জালাল আহম্মেদ।
তরুণ ভোটারদের কথা মাথায় রেখে সদালাপি, হাস্যোজ্বল, দক্ষ এক প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। জনসমর্থন প্রাপ্ত প্রার্থীকে দলীয়ভাবেও নির্বাচনে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়া হবে।
Leave a Reply